আপনার সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর জন্য জন্য একটি ভালো নাম রাখা অত্যাবশ্যক। যাতে করে যে কেউ আপনার শিশুটিকে একটি সুন্দর নামে ডাকতে পারে।
তবে একটি ভালো নাম রাখার ক্ষেত্রে এই নামের মধ্যে অনেকগুলো গুনাগুন থাকা বাঞ্ছনীয়। যে গুনাগুনগুলো নামটিকে একটু অন্যরকম মাত্রা যায়।
আর এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে একটি ভালো নাম রাখার ক্ষেত্রে যে গুনাগুনগুলো থাকা অত্যাবশ্যকীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
অর্থাৎ আপনি যদি আপনার শিশুর জন্য একটি ভালো নাম রাখতে চান; তাহলে যে বিষয়গুলো আপনার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে সে সম্পর্কে এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে।
শিশুদের জন্য অর্থপূর্ণ এবং মার্জিত নাম কেন রাখবেন?
ব্যাপারটা এরকম যে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা শিশুদের জন্য নাম রাখার ক্ষেত্রে কোনো রকমের অর্থের দিক বিবেচনা না করেই নামটি রেখে দেন।
তারপর আপনি যখন এটা মনে করেন যে আপনার নামের অর্থ কি এই সম্পর্কে রিসার্চ করবেন; তখন আপনি অর্থের সম্পর্কে জানার পরে কিছুটা হতাশ হয়ে যান।
অর্থাৎ আপনি আপনার নামের অর্থটি জানার পরে লক্ষ্য করেন সেই নামের অর্থটি কোনমতেই আপনি মেনে নিতে পারেন না; তবে ওই সময় আফসোস করে কোন লাভ হয় না।
আর এই সমস্ত বিষয় গুলোর মধ্যে আপনি যাতে পরবর্তী সময়ে মোকাবেলা না করেন; সেজন্য আপনাকে অবশ্যই নাম রাখার ক্ষেত্রে অর্থের দিক বিবেচনা রাখতে হয়।
তাহলে আর দেরি না করে এখনি দেখে নিন একটি ভালো নাম রাখার ক্ষেত্রে নামের মধ্যে যে গুণগুলো থাকা অত্যাবশ্যক সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
অর্থপূর্ণ নাম
অর্থপূর্ণ নামের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মধ্যে বিশেষ করে যারা মুসলমান তারা কোরআনে যে নাম গুলো রয়েছে সেগুলো হুট করেই রেখে দেন।
অর্থাৎ কুরআনে এই নামটি আছে বিধায় আমরা এটা মনে করি যে নামের অর্থ হয়তো অনেক বেশি ভালো হবে এবং এই নামটি আমার শিশুর জন্য রাখার মতো উপযোগী নাম।
তবে ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন কোরআনে কিন্তু শেয়াল, কুকুর ইত্যাদির নাম বর্ণনা করা হয়েছে। তাহলে আপনি কি আপনার সন্তানের নামের পাশে এই নামগুলো দেখতে চাইবেন?
তাই সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কোরআন থেকে নাম কালেক্ট করুন কিংবা অন্য যে কোন জায়গা থেকে নামের অর্থটি বিবেচনা করে নিবেন।
যেকোনো নামের অর্থ এর সঠিক বিশ্লেষণ এবং নামের সঠিক অর্থ জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। যেখান থেকে আপনি যেকোনো নামের অর্থ জেনে নিতে পারবেন।
তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে নামের অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে এবং তারপরেই নামটি আপনার শিশুর জন্য নির্বাচন করতে হবে।
আনকমন নাম
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা শিশুদের নাম রাখার ক্ষেত্রে ওই একই নামে অন্য কোন ব্যক্তি রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে পুরোপুরি বেখেয়াল।
আমি কিন্তু বিষয়টা এরকম ভাবে বলছি না যে, আপনি আপনার সন্তানের জন্য যে নাম রাখবেন সেই নামে একই ব্যক্তি এই পৃথিবীতে আর একজনও না থাকা আবশ্যক; ব্যাপারটা কিন্তু এরকম নয়।
আপনি যখনই আপনার শিশুর জন্য একটি নাম রাখবেন তখন লক্ষ্য করবেন ওই নাম অনুসারে কোন ব্যক্তি যাতে আপনাদের আশেপাশে পাড়া-মহল্লায় না থাকে।
কারণ একই নামের দুইজন ব্যক্তি যদি একই গ্রামে থাকে তাহলে এটি অনেকটা ভালো দেখায় না; এবং যে কারো বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।
তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আনকমন একটি নাম বিবেচনা করবেন। এবং এই নামটি অনুসারে অন্য কোন ছেলে সন্তান কিংবা শিশু আপনাদের আশেপাশের পাড়া-মহল্লা একজন খুঁজে পাওয়া না যায় সে সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন।
ছোটখাটো নাম
অনেকেই আছেন যারা নাম রাখার ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি হিউজ টাইপের নাম রেখে দেন। অর্থাৎ নামের মধ্যে শব্দ সংখ্যা অনেক বেশি থাকে।
আপনি যখন আপনার সন্তানের জন্য নাম রাখার জন্য ইচ্ছা পোষণ করবেন তখন এই কাজটি কখনোই করবেন না। চেষ্টা করুন নামটিকে ছোট সংখ্যা কমিয়ে আনার।
কারণ বড়োসড়ো নাম গুলো অনেক সময় নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন করাতে পারে; এছাড়াও শিশুদের নাম ধরে ডাকার ক্ষেত্রে ছোটখাটো নাম গুলো খুবই ভালো ভূমিকা পালন করে।
নামের শেষে পিতার নাম
আপনি যদি আপনার মুসলিম ছেলে কিংবা মেয়ে শিশুদের সুন্দর নাম রাখতে চান; তাহলে অবশ্যই এই নামের শেষের দিকে পিতার নাম সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবেন।
আপনারা শিশুদের নামের শেষে পিতার নাম সম্পৃক্ত করা থাকলে এই নামটি আরো বেশি ভালো এবং অর্থপূর্ণ দেখায়। এছাড়াও যে কেউ আপনার সন্তানের নাম শুনেই পিতার নাম সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
এক্ষেত্রে ছেলে শিশুদের জন্য নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতার নামের পূর্বে “বিন” শব্দটি ব্যবহার করুন। এবং মেয়েদের জন্য “বিনতে” শব্দটি ব্যবহার করুন।
আর আপনার সন্তানের জন্য নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হয়; সেগুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ে গেল।