আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তাদের ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করার পরেই আর্টিকেল তাদের ওয়েবসাইট এর মধ্যেই বিদ্যমান থাকে।
অর্থাৎ তারা এমন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করেন যে আর্টিকেলটি কেউই পড়তে চায় না এবং এই আর্টিকেলটি একেবারে জিরো ট্রাফিক নিয়ে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খায়।মূলত আর্টিকেল নয় আপনি হতাশার সাগরে ভেসে যান।
এই ব্যাপারটা হওয়া স্বাভাবিক; কারন একটি আর্টিকেল লিখতে প্রচুর পরিমাণে কষ্ট করতে হয়। আর যখন প্রচুর পরিমাণে কষ্ট করার পরেও এই আর্টিকেলটি কেউ পড়তে চায় না তখন মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আর এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটে সীমাবদ্ধ থাকার মূল কারনই হলেন আপনি। কারণ আপনি এই আর্টিকেলটি এমন ভাবে পাবলিশ করেছেন যাতে করে এটি কেউ পড়তে চায় না।
আর্টিকেল পাবলিশ করার পূর্বে আপনি যদি এটিকে পুরোপুরি রিডার ফ্রেন্ডলি করে তুলতেন; তাহলে যে কেউ এটি পড়তে চাইতো এবং এই আর্টিকেল লেখাটা সার্থক হত।
আর আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি একটি আর্টিকেল লিখবেন যে আর্টিকেলটি যে কেউ পড়তে চাইবে এবং এটি আর্টিকেল হিসেবে সার্থক হবে।
ছোট প্যারাগ্রাফ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কম করে হলেও ৮-১০ লাইনের একটি প্যারাগ্রাফ দিয়ে দেন; যা যেকোনো রিডার এর জন্য ওভার ওয়ার্মিং বটে।
কারণ একজন রিডার হিসেবে কেউ কখনই দশ থেকে বারো লাইনের কোন প্যারাগ্রাফ পরতে চাইবে না। এ সমস্ত বড়-সড় প্যারাগ্রাফ
যে কেউ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে।
কিন্তু আপনি যদি এই প্যারাগ্রাফ এর সীমা কমিয়ে আনেন, তাহলে এটি পুরোপুরি ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে এবং যে কেউ এ প্যারাগ্রাফ টি পড়ার চেষ্টা করবে। এছাড়াও আপনার আর্টিকেলটি একদম শেষ অব্দি পড়ার চেষ্টা করবে।
সেজন্য যখনই আপনি একটি আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন ; তখন ওই আর্টিকেল এর মধ্যে যে প্যারাগ্রাফ রয়েছে সে সমস্ত প্যারাগ্রাফ এর লেন্থ কমিয়ে আনুন।
সবসময়ই চেষ্টা করুন আপনার ওয়েবসাইটে যে সমস্ত প্যারাগ্রাফ থাকবে সে সমস্ত প্যারাগ্রাফ লিমিট খুব বেশি হলে তিন থেকে চার লাইনের বেশি যাতে না হয়; এটা আপনার রিডারদের ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দেবে।
ইমেজ এবং ইনফোগ্রাফিক যুক্ত করা
আপনি কি এ সম্পর্কে জানেন যে একটি মাত্র ইমেজ প্রায় 1000 শব্দের কথা বলে? ব্যাপারটা আসলেই তাই। আপনি যদি আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে রিলেটেড ইমেজ যুক্ত করেন তাহলে এটি 1000 শব্দের কথা বলতে পারে।
তবে ইমেজ যুক্ত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই রিলেটেড ইমেজ যুক্ত করবেন। কারণ রিলেটেড যদি না হয় তাহলে এটি যে কারো জন্য অভার ওয়ার্মিং হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আপনি চাইলে ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করতে পারেন।
চেষ্টা করুন আপনার কনটেন্ট এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ভিডিও আপলোড দেয়ার। যাতে করে আপনার কনটেন্ট যে কোনো ব্যবহারকারী সহজেই বুঝে ফেলতে পারে।
এছাড়াও ব্যবহারকারীরা যাতে অডিও ফরমেটে আপনার কনটেন্ট না পড়েও শুনতে পারে সেই ব্যবস্থাও আপনি চাইলে করতে পারেন; এক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি প্লাগিন ইন্সটল করার মাধ্যমেই কাজটি করতে পারেন।
কনটেন্ট এর মধ্যে ভিডিও অডিও যুক্ত করতে আপনি ব্যর্থ হলেও শুধুমাত্র আপনার আর্টিকেল রিলেটেড ইমেজ এবং ইনফোগ্রাফিক্স যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি আপনার রিডারদের বেশিক্ষণ ধরে আঁকড়ে রাখতে পারবেন।
তবে যেকোনো ইমেজ যুক্ত করার পূর্বে অবশ্যই এই ইমেজটি কে ভালোভাবে রিসার্চ করে নিবেন এবং কপিরাইট ফ্রি ইমেজ যুক্ত করার চেষ্টা করবেন।
আকর্ষণীয় টাইটেল
যখনই আপনার কোন আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের রেংক করে, তখন যে কেউ এই আর্টিকেলের মধ্যে ক্লিক করবে কিনা সেটার সর্বাপেক্ষা নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট এর টাইটেল এর উপর।
যদি আপনার কনটেন্ট এর টাইটেল আকর্ষনীয় হয়ে থাকে; তাহলে যে কেউ এই আকর্ষণীয় টাইটেলের উপরে ক্লিক করে আপনার আর্টিকেলটি পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবে।
এছাড়াও আপনার লেখা আর্টিকেল টাইটেল যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে কনটেন্ট যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন কেউই টাইটেলের উপরে ক্লিক করবে না। এবং আপনার আকর্ষণীয় আর্টিকেল পড়তে চাইবে না।
আর তাই যখন একটি আর্টিকেল লিখবেন তখন সর্বাপেক্ষা চেষ্টা করবেন আপনার লেখা আর্টিকেল এর টাইটেল পুরোপুরি আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে। যাতে করে যে কেউ টাইটেলের উপরে ক্লিক করে।
তাছাড়াও আপনার আর্টিকেল এর টাইটেলের উপরে ক্লিক যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটে রেংকিং বৃদ্ধি পাবে; আর রেংকিং বৃদ্ধি পেলে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।
আর্টিকেল রিডারদের ফ্রিতে কিছু প্রোভাইড করুন
যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি আপনার যে সমস্ত কনটেন্ট রিডার রয়েছে তাদেরকে ফ্রীতে কিছু দিতে পারেন; এতে করে যে কেউ আপনার কনটেন্ট পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবে।
চাইলে আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে বিভিন্ন রিলেটেড প্রোডাক্ট ফ্রিতে দিতে পারেন ; সেটা হতে পারে কোন ই-বুক অথবা আপনার আর্টিকেল রিলেটেড অন্যকোন বিষয়াদি।
এছাড়াও যখনই আপনি আপনার আর্টিকেল রিডারদের কোন কিছু ফ্রিতে দিবেন তখন চেষ্টা করুন ই-মেইল কালেক্ট করার। যাতে করে পরবর্তী সময়ে আপনি যদি কোন আর্টিকেল পাবলিশ করেন এবং এরকম কোন ফ্রি অফার দিয়ে থাকেন তাহলে ইমেইলের মাধ্যমে তাদেরকে এই বিষয়টি জানাতে পারেন।
এতে করে আপনার পরবর্তী আর্টিকেলে ভিজিটরেরা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং যখন আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট এর ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে; তখন আপনার ওয়েবসাইটের আর্নিং বৃদ্ধি পাবে।
প্রমাণ যুক্ত করুন
যখনই আপনি কোন একটা আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখন এই আর্টিকেলের একদম সর্বশেষে কিংবা আর্টিকেল এর মধ্যে কোন একটি জায়গায় আর্টিকেল রিলেটেড একটি প্রমাণ যুক্ত করতে পারেন।
অর্থাৎ আপনার লেখা আর্টিকেল এর মাধ্যমে যে কেউ উপকৃত হয়েছে কিংবা আপনি এই আর্টিকেলটি আপনার নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন সেটি তাদের সামনে তুলে ধরুন।
এবং এই কাজটি যখন আপনি সফলভাবে করতে পারবেন তখন দেখবেন আপনার আর্টিকেলটি যে কেউ খুব বেশি সময় ধরে পরতে চাইবে। এতে করে আপনার আর্টিকেল ডিউরেশন টাইম বৃদ্ধি পাবে।