স্কিন এলার্জির ঔষধ, মলম এবং ঘরোয়া উপায়ে এটি নির্গমনের উপায়

আমাদের মধ্যে এরকম অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা স্কিন এলার্জির ঔষধ নাম সম্পর্কে জেনে নিতে চান, যাতে করে আপনি যদি স্কিন এলার্জির তীব্র যন্ত্রণায় বুঝেন তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আজকের আর্টিকেলে মূলত আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি চাইলে কিছু ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এছাড়াও ঘরোয়া আরো কিছু উপায়ে আপনি যেভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, সেই সম্পর্কেও এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

স্কিন এলার্জির ঔষধ

এলার্জির ঔষধ হিসেবে আপনি যে সমস্ত ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন, সেই সমস্ত ঔষধ গুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটি ঔষধের নাম নিচে মেনশন করা হলো।

এলার্জির জন্য ব্যবহৃত সর্বোচ্চ কার্যকরীতা সম্পন্ন যে সমা্ত ঔষধ বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে তিনটি ঔষধের নাম হলো।

১. Antioxidant
২. Vitamin A এবং Zinc
৩. Carotenoid

মূলত উপরে উল্লেখিত ওষুধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই রিকমেন্ড থাকবে, এ সমস্ত ওষুধ গুলো ব্যবহার করার পূর্বে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

কেননা এসমস্ত ঔষধ গুলো আপনার প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে কিনা সেটি সবচেয়ে ভালো ধারণা দিতে পারবে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার।

সেজন্য এলার্জির জন্য যে সমস্ত ঔষধ নিচে উপরে মেনশন করা হয়েছে শুধুমাত্র ঔষধ ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

এলার্জির ঘরোয়া ওষুধ

এছাড়াও এলার্জি নির্মল করার জন্য আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায় কিছু উপায় ফলো করতে পারেন, যে সমস্ত উপায় এর মাধ্যমে আপনি সহজেই এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপায় হলো নিম পাতা। আপনি চাইলে নিমপাতা এর কার্যকরী একটি ঔষধ তৈরি করার মাধ্যমে এটি খাওয়া খেলে এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

  • এই কাজটি করার জন্য প্রথমে ১ কেজি পরিমাণ নিমপাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।
  • রোদে শুকানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এটি পাটায় পিষে অথবা আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি উপায় পাতাগুলো গুঁড়ো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে একটি পাত্রে মধ্যে ভর্তি করে রাখেন।
  • এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
  • যখন আপনি এটা তৈরী করে নিবেন তার আধাঘন্টা পরে চামচ দিয়ে এই মিশ্রণটি নিন এবং তারপরে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে , দুপুরে ভরা পেটে, এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে পান করেন, তাহলে থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
  • তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনি চাইলে নিমপাতা মিশ্রিত কুসুম গরম পানিতে গোসল করে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

চুলকানির মলম এর নাম

এছাড়াও আপনি যদি চুলকানি কমানোর জন্য কোন একটি কার্যকরী মলম ব্যবহার করতে চান, তাহলে সবচেয়ে কার্যকরী হিসেবে নাম রয়েছে সেটি হলঃ “পেভিসোন।

এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে ৫ মিনিটের মধ্যেই আপনার চুলকানি কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এছাড়াও আপনি চাইলে “ওরাডিন” নামে যে আরেকটি ট্যাবলেট করেছে সেই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এবং এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।

তবে একটি বিষয় অবশ্যই মেনশন করা দরকার সেটি হলো, এখানে দেখানো ঘরোয়া উপায়ে ছাড়া যতগুলো ওষুধের নাম মেনশন করা হয়েছে সবগুলো ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

Scroll to Top