একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে আপনি এই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করতে পারেন এই সংক্রান্ত নানা রকমের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমাদের মধ্যে।
একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার পরে আপনি এই সমস্ত উপায় ব্লগসাইট কে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারবেন, সে সমস্ত উপায়গুলো মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপায় নিচে আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি ব্লগ সাইট তৈরি করে আয় করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য প্রযোজ্য; তাহলে আর দেরি না করে এখনই শুরু করা যাক।
গুগল এডসেন্স
ওয়েবসাইট থেকে এড দেখিয়ে আয় করার জন্য যে সমস্ত পারফর্ম বিদ্যমান রয়েছে; সে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে গুগল এডসেন্স।
গুগল এডসেন্স আপনার প্রত্যেকটি ইউনিক কনটেন্টকে ভ্যালু প্রভাইড করে এবং এই সমস্ত কনটেন্ট গুলোতে অ্যাড দেখিয়ে আপনাকে আয় করতে সহায়তা করে।
গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল করা খুবই সহজ একটা ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলো কে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করতে হবে এবং ইউনিক ইউজার ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনি যখনই আপনার ওয়েবসাইটে ইউনিট এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করে নিবেন; তখন আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল এর জন্য আবেদন করতে পারেন। সবকিছু ঠিক থাকলে গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনুমোদন করে দিবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনার যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটের যে সমস্ত ভিজিটর রয়েছে সে সমস্ত ভিজিটরকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজে লাগাতে পারেন।
অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট কে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচার করতে পারেন; যাতে করে কেউ এই লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করলে আপনি কিছু কমিশন পাবেন।
এছাড়াও নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজটি খুব সহজেই করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি কমপ্লিটলি অটোমেটিকভাবে টাকা আয় করতে পারবেন।
স্পনসর্শিপ
আপনার ওয়েবসাইট যদি খুব বেশি পপুলার হয়ে থাকে এবং এতে যদি ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়; তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে স্পনসর্শিপ যুক্ত করতে পারেন।
অর্থাৎ এরকম অনেক ব্র্যান্ড কিংবা ইন্ডাস্ট্রিজ রয়েছে যারা ডিজিটাল প্রডাক্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকেন। তাদের ওয়েবসাইট কিংবা পণ্যকে প্রমোট করার জন্য এবং প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট কমিশন তারা আপনাকে দিয়ে দেয়।
ঠিক একই রকমভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় এবং আপনার ওয়েব সাইটে প্রতিদিনই ইউনিক অর্গানিক ভিজিটরের আগমন ঘটে তাহলে আপনি স্পনসর্শিপ নিতে পারেন।
এবং যখনই আপনি স্পনসর্শিপ নামের একটি পেইজ আপনার ওয়েবসাইট ওপেন করবেন তখনই যে কেউ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করার মাধ্যমে এই পেইজটি দেখবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য কমিশন রেট অনুধাবন করতে পারবে।
এবং আপনার দেয়া স্পন্সরশীপের মূল্যতালিকা কারো যদি নজরে যায় এবং কেউ যদি এই সমস্ত মূল্য তালিকা দেখে এটা মনে করে যে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেয়া প্রয়োজন তাহলে আপনি সহজেই এর সুবিধাভোগী হতে পারবেন।
লিংক শর্টনার
লিংক শর্টনার হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার অরিজিনাল লিংকে কিছুটা ছোট করে অন্যান্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাটফর্মে রি-ডাইরেক্ট করিয়ে তারপরে মেইন লক্ষ্যে পৌঁছানো হয়।
অর্থাৎ আপনি যদি যে কোন লিংককে শর্টনার করে ফেলেন তাহলে এই লিংকটি বিভিন্ন রকম অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্ল্যাটফর্মের প্রথমত ভিজিট করবে; এবং কোন ব্যক্তি যখন step-by-step কাজটি করতে পারবে তখনই সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
আর আপনি যদি লিংক শর্টনার ব্যবহার করেন তাহলে বিভিন্ন রকমের প্ল্যাটফর্মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারেন এবং তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার লিংক শর্টনার করতে পারেন।
এ সমস্ত ওয়েবসাইটে ভিজিট করার মাধ্যমে আপনি এখানে একটি প্রোফাইল তৈরি করে নেবেন এবং তারপরে আপনার যতগুলো লিংক তৈরী করা দরকার তথ্যগুলো লিংক আপনি এখান থেকে তৈরি করতে পারবেন।
সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো; এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতি 1000 ভিউতে আপনাকে কম করে হলেও 60 থেকে 70 ডলার দিয়ে দিতে পারে; যা নিঃসন্দেহে ভালো একটি ব্যাপার।
আরেক একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার মত যে সমস্ত সেরা উপায় রয়েছে সে সমস্ত উপায়গুলো উপরে আলোচনা করা হল। আশা করি এগুলো আপনার উপকারে আসবে।