ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার জন্য যে কাজগুলো করবেন

ব্লগিং ক্যারিয়ার

আপনি যদি ইতিমধ্যে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেন, তাহলে এই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে সফলতা পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার সেগুলো সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

এই আর্টিকেলের মধ্যে বর্ণনাকৃত বিষয়গুলো দিকে আমরা নজর রাখি না দেখেই ব্লগিং করার ক্ষেত্রে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়ে যায় অর্থাৎ সফলতার কোন দ্বারপ্রান্তে আমরা পৌঁছাতে পারি না।

কি সেই সমস্ত বিষয়ে গুলো? যে বিষয়গুলো একজন ব্লগার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হয়, যদি আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা অর্জন করতে চান।

আপনার কাজে রেগুলারলি আপডেট থাকা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্লগিং করেন কিন্তু রেগুলারলি এই ব্লগিংকে বেছে নেন না অর্থাৎ প্রতিনিয়তই তারা ব্লগিং ক্যারিয়ারের পিছনে সময় গুলো ব্যয় করেন না।

ব্যাপারটা এরকম যে আপনি ব্লগিং কে পেশা হিসেবে বেছে বেছে নিয়েছেন কিন্তু ব্লগিং করার ক্ষেত্রে আপনার অনিয়মিত ভাব চলে এসেছে।

অর্থাৎ রেগুলারলি আপনি কোন আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে কোন রকমের আর্টিকেল পাবলিশ করছেন না, আর্টিকেল পাবলিশ করলেও সেই আর্টিকেল আপনি সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার পাবলিশ করছেন।

আর আপনি যদি ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এরকম অনিয়মিত ভাব-ভঙ্গি করেন তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ারের আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না; এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই রেগুলারলি কনটেন্ট আপডেট দিতে হবে।

এছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে ব্লগিং এর সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং ব্লগিং করাকে যেহেতু আপনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাই নিয়মিত নতুন কোন বিষয় খুঁজে বের করতে হবে এবং এই বিষয়গুলো ইম্প্রুভ করতে হবে।

তথ্যবহুল কনটেন্ট এবং ট্রেন্ডিং টপিক

আপনি যদি ব্লগিং করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যে সমস্ত আর্টিকেলগুলো পাবলিশ করবেন সেই সমস্ত আর্টিকেল গুলোর টপিক হিসাবে ট্রেন্ডিং টপিক বেচে নিবেন।

আপনার ওয়েবসাইটের ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে আলোচনা করা হলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর খুব বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও একেবারে কম কম্পিটিশন এর মধ্যে আপনি খুব বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন।

যখনই আপনার ওয়েবসাইটে কোন আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখন চেষ্টা করবেন আর্টিকেলটি খুব বেশি পরিমাণে তথ্যবহুল করার এবং এখানে সমস্ত বিষয় গুলোকে পর্যালোচনা করার।

আপনি যখন একটি ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখনই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি হতে দেখবেন।

আর যখনই আপনার সাইটের ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল।

ধৈর্য ধারণ করা

ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এরকম অনেক সময় আসতে পারে যে সময়গুলোকে তাই আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

যেমন আপনি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নিয়ে নিলেন, কিন্তু কোনো কারণবশত গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট থেকে এড লিমিট করে দিল এবং এই ওয়েবসাইট থেকে ওই সময়ে আপনার আর কোনরকমে আর্নিং হলো না।

যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোন রকমে আর্নিং হচ্ছে না তখন আপনি যদি হতাশ হয়ে ওয়েবসাইটে কাজ করা বন্ধ করে দেন বা রেগুলারলি কনটেন্ট আপডেট দেয়া বন্ধ করে দেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন না।

এক্ষেত্রে যতই দুঃখ আসুক না কেন সব সময় চেষ্টা করবেন ব্লগটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কখনো হতাশ হবেন না, সব সময় ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবেন।

কারণ গুগল এডসেন্স সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিকের সংখ্যা কম এবং ক্লিকে সংখ্যা বেশি হলে এড লিমিট করে দেয় এবং যখন আপনার ওয়েবসাইটে এডলিমিট হয়ে যায় তখন যদি আপনি কন্টেন্ট আপডেট দেন তাহলে এটি সহজেই চলে যায়।

এবার আপনি যদি ধৈর্য ধারণ না করে ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা বন্ধ করে দেন এবং এই সাইটের দিকে কোনো রকমের নজর না দেন, তাহলে এই ভুলটি আপনাকে ব্লগিং থেকে বিমুখ করে দিতে পারে।

খারাপ মন্তব্য এড়িয়ে চলা

এরকম কোন সফল ব্লগার আপনি ইন্টারনেটের জগতে খুজে পাবে না যারা ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে কোন না কোন খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি।

অর্থাৎ দেখা গেছে যে যখন তারা ব্লগিং শুরু করেছে তখনই হয়তো ফ্যামিলি থেকে কিংবা আশেপাশের লোকজনের থেকে নানা রকমের কটু কথা শুনতে হয়েছে, যে সমস্ত কথাগুলো খুবই হার্ট টাচিং হয়ে থাকে।

আর অনেকেই আছেন যারা এ সমস্ত কথাগুলো শোনার পরবর্তী সময়ে ব্লগিং-এর চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে দেন; আর আপনিও যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়ে সম্মুখীন হতে পারেন।

অনেকেই আপনাকে এরকম বুদ্ধি দিতে পারে যে ব্লগিং তেমন একটা লাভজনক পেশা নয়, তুমি এই ব্যবসাটি থেকে সরে আসা এবং অন্য কোন কিছু করো; আপনি যদি ওই ব্যক্তির কথাতে মনোযোগ দিয়ে দেন তাহলে আপনার ব্লগিং এর সফলতা কখনোই আসবেনা।

এক্ষেত্রে যতই বিরূপ মন্তব্য আসুক না কেন এই সমস্ত মন্তব্য গুলো এড়িয়ে চলে আপনার কাজে মনোযোগ দিতে হবে, তাহলেই দেখবেন কোন একদিন আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক বেশি সফল হয়ে গেছেন এবং যারা আপনাকে এই সমস্ত মন্তব্য করেছিল তারা আজকে ব্যর্থ।

সবসময় কাজের দিকে নজর দেয়া

আচ্ছা আমরা ব্লগিং ক্যারিয়ার কেন শুরু করব? নিশ্চয়ই ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার একটাই কারণ সেটা হল ব্লগিং ক্যারিয়ারকে আমরা প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করব।

আর আপনিও যদি ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করেন টাকা আয় করার জন্য তাহলে আপনার জন্য একটি ছোট নির্দেশনা রয়েছে; এই নির্দেশনা আপনার পরবর্তী সময়ে কাজে আসবে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্লগিংয়ের সবেমাত্র চলে আসার পরেই টাকা আয় করতে চান অর্থাৎ ব্লগিং ওয়েবসাইট শুরু করার পরেই তারা টাকা আয় করতে চান। এটা কি আসলেই ঠিক?

যে বা যারা ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করেন শুধুমাত্র টাকা আয় করার জন্য তারা কোনদিনই সফল হতে পারেন না; এর মানে এটা মোটেও নয় যে আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার পরে টাকা আয় করার চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলবেন।

ব্যাপারটা এরকম যে, আপনি যখনই ব্লগিং শুরু করবেন তখনই টাকা আয় করার চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলবেন এবং যখনই ব্লগিং ক্যারিয়ারের সময়সীমা এক বছর অতিক্রম করে ফেলবে তখন আপনি মাথার মধ্যে টাকা আয় করার চিন্তাটা ঢুকে ফেলুন।

এই কথাটি সারমর্ম হল, ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার পরে সম্পূর্ণ মনোযোগ আপনার কাজের দিকে দিয়ে দিন। তাহলে যত সময় যাবে কত সময়ের মধ্যে আপনাকে টাকার দিকে নজর দিতে হবে না স্বয়ং টাকা আপনার দিকে নজর দিবে।

আর একজন ব্লগার হিসেবে সফল হওয়ার জন্য যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনার পর্যালোচনা করা উচিত সেগুলো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হলো। আশা করি এগুলো আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে সহায়তা করবে।

কিছু highest-paid করা এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট |

highest-paid করা এফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যে সমস্ত সাইটগুলো সবচেয়ে বেশি পেইড করে থাকে সে সমস্ত সাইটগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো।

অর্থাৎ ইন্টারনেট জগতে এরকম অনেক এফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা আপনাকে প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট বিক্রয় করার পরিবর্তে খুব বেশি পরিমাণে ডলার পাইয়ে দিতে পারে।

এছাড়াও দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আপনি যদি ভুল প্লাটফর্মে প্রবেশ করেন, তাহলে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট বিক্রয় করার পরেও আপনি খুব বেশি পরিমাণে কমিশন পাবেন না।

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং ভালোভাবে শিখে নেয়ার পরে যখন আপনি মনে করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা দরকার তখনই এই সমস্ত highest-paid করা প্ল্যাটফর্ম গুলো খুঁজে নিতে পারেন।

এতে করে আপনি প্রত্যেকটি সেল দেয়ার পরিবর্তে প্রচুর অংকের টাকা আয় করতে পারবেন এবং আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন; কি সেই highest-paid করা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ওয়েবসাইট?

আপনি যদি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে নিচের দেয়া গাইডলাইন ফলো করুন এবং এই অনুযায়ী আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করুন।

Envato

Envato হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যে প্ল্যাটফর্মটিতে যেকোনো ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার কিংবা ডিজাইনার তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে যায়।

আর আপনি যদি Envato এর এফিলিয়েট প্লাটফর্মে নিজেকে নিযুক্ত করে নেন, তাহলে এসমস্ত পেইড জিনিসপত্রগুলো আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোন উপায়ে বিক্রি করার মাধ্যমে খুব বেশি পরিমাণে কমিশন পেতে পারেন।

এছাড়াও তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রামের নিজেকে জয়েন করার একটি ভালো কারন হল, ইন্টারনেটের জগতে যে সমস্ত ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ব্লগার থিম কিংবা অন্যান্য ডেভেলপিং এর জিনিসগুলো বিক্রি করার ওয়েবসাইট রয়েছে সে সমস্ত সাইটগুলোর মধ্যে থেকে এটি প্রথম স্থানে রয়েছে।

এছাড়াও এ প্লাটফর্ম এ সমস্ত জিনিস গুলোই পুরোপুরি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং যে কেউ এই প্লাটফর্ম থেকে যেকোনো জিনিস ক্রয় করে নিতে কোনো রকমের সংকোচ প্রকাশ করে না।

সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল, আপনি যদি তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করেন তাহলে প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে 30 শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি কমিশন আদায় করে নিতে পারবেন।

Join Envato Affiliate

Bluehost

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সর্বাধিক সাপোর্ট এর সহায়তায় ডোমেইন হোস্টিং করতে চান তাহলে Bluehost আপনার জন্য এক অনন্য পার্টনার।

ব্লু হোস্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা আপনার ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে জন্য ডোমেইন অথবা হোস্টিং ক্রয় করতে পারেন। যা আপনি স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি যদি ব্লুহোস্ট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর নিজেকে সংযুক্ত করে নেন, তাহলে এখানে থাকা প্রত্যেকটি হোস্টিং প্রমোট করার মাধ্যমে যে কেউ যখন এটি ক্রয় করে নিবে তখন আপনি 63% কমিশন আদায় করে নিতে পারবেন।

তাদের হোস্টিং প্ল্যান প্রাইস কিছুটা বেশি হলেও বিভিন্ন সময়ে তারা ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। আর যখনই তারা এই সমস্ত ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে তখন আপনি তাদের এই সমস্ত হোস্টিং প্লান প্রমোট করুন আপনার এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে।

আর ডোমেইন-হোষ্টিং কেনার প্লাটফর্ম থেকে আপনি যদি সবচেয়ে বেশি কমিশনের এফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মের অনুসন্ধান করে থাকেন, তাহলে ব্লুহোস্ট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে পারেন।

Join Bluehost Affiliate

Surfshark VPN

আপনি যদি ইন্টারনেটে পুরোপুরি সুরক্ষিতভাবে ভিজিট করতে চান যাতে করে আপনার ডাটা গুলো পুরো সুরক্ষিত থাকবে, তাহলে আপনি ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে এ সমস্ত কাজগুলো করতে পারেন।

আর Surfshark VPN হলো একটি পাওয়ারফুল ভিপিএন প্রোভাইডিং প্লাটফর্মে। যে প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি পুরোপুরি স্ট্রঙ্গেস্ট ভিপিএন কালেক্ট করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সংযুক্ত হতে পারেন এবং তাদের ওয়েবসাইটে মধ্যে যে ভিপিএন গুলো রয়েছে সেগুলো প্রমোট করে কমিশন আদায় করতে পারেন।

আপনি যদি তাদের ওয়েবসাইটের কোন ভিপিএন প্রমোট করেন এবং এই ভিপিএন যদি আপনার এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে কেউ ক্রয় করে, তাহলে আপনি 40 শতাংশ কমিশন পেতে পারেন।

ভিপিএন প্রোভাইডিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে থেকে যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে বেশি আফিলিয়েট কমিশন দিয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে থেকে Surfshark VPN সন্তোষজনক একটি স্থানে রয়েছে।

Join Surfshark VPN Affiliate

Wix

আপনি যদি একটি ফ্রী ওয়েবসাইট বিল্ডআপ করতে চান, তাহলে Wix এর মাধ্যমে এই কাজটি খুব সহজে করতে পারেন; Wix হল একটি ওয়েবসাইট বিল্ডার প্ল্যাটফর্ম।

এছাড়াও আপনি যদি তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করেন তাহলে আরো বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন, তাদের ওয়েবসাইটকে প্রমোট করার মাধ্যমে।

তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং এর একটি ভালো সুবিধা রয়েছে আর সেটি হল; আপনি যদি তাদের ওয়েবসাইট থেকে একটি মাত্র সেল করতে পারেন তাহলে প্রতিটি প্রডাক্ট প্রমোট করে বিক্রি করার জন্য 100 ডলার আয় করতে পারবেন।

Join Wix Affiliate

উল্লেখিত প্ল্যাটফর্ম গুলোর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ আপনি যদি জয়েন হতে চান, তাহলে প্রথমত আপনাকে তাদের আমার দেয়া এফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করে সাইন আপ সম্পন্ন করতে হবে।

এরকম অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে শুধুমাত্র সাইন আপ করার পরেই আপনার এফিলিয়েট প্রোগ্রাম কাজ শুরু করতে দিয়ে দেয়; কিন্তু এরকম অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা শুধুমাত্র সাইন আপ করার পরিবর্তে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করে দেয় না।

এক্ষেত্রে আপনি যখনই রিয়াল এবং ভ্যালিড ইনফরমেশন দিয়ে সাইন আপ করবেন এবং আপনার সমস্ত বিষয় গুলো যখন তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলবে তখনই তারা আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করে দিবে এবং পরবর্তী সময়ে আপনি তাদের প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন।

আর আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে খুব বেশি পরিমাণে ডলার আয় করতে চান, তাহলে উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলোর প্রোডাক্ট অবশ্যই প্রমোট করার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন এতে করে আপনি খুব বেশি পরিমাণে কমিশন পাবেন।

একটি ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

ব্লগার ওয়েব সাইট থেকে আয়

একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে আপনি এই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করতে পারেন এই সংক্রান্ত নানা রকমের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমাদের মধ্যে।

একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার পরে আপনি এই সমস্ত উপায় ব্লগসাইট কে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারবেন, সে সমস্ত উপায়গুলো মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপায় নিচে আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি ব্লগ সাইট তৈরি করে আয় করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য প্রযোজ্য; তাহলে আর দেরি না করে এখনই শুরু করা যাক।

গুগল এডসেন্স

ওয়েবসাইট থেকে এড দেখিয়ে আয় করার জন্য যে সমস্ত পারফর্ম বিদ্যমান রয়েছে; সে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে গুগল এডসেন্স।

গুগল এডসেন্স আপনার প্রত্যেকটি ইউনিক কনটেন্টকে ভ্যালু প্রভাইড করে এবং এই সমস্ত কনটেন্ট গুলোতে অ্যাড দেখিয়ে আপনাকে আয় করতে সহায়তা করে।

গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল করা খুবই সহজ একটা ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলো কে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করতে হবে এবং ইউনিক ইউজার ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

আপনি যখনই আপনার ওয়েবসাইটে ইউনিট এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করে নিবেন; তখন আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল এর জন্য আবেদন করতে পারেন। সবকিছু ঠিক থাকলে গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনুমোদন করে দিবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনার যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটের যে সমস্ত ভিজিটর রয়েছে সে সমস্ত ভিজিটরকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজে লাগাতে পারেন।

অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট কে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচার করতে পারেন; যাতে করে কেউ এই লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করলে আপনি কিছু কমিশন পাবেন।

এছাড়াও নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজটি খুব সহজেই করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি কমপ্লিটলি অটোমেটিকভাবে টাকা আয় করতে পারবেন।

স্পনসর্শিপ

আপনার ওয়েবসাইট যদি খুব বেশি পপুলার হয়ে থাকে এবং এতে যদি ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়; তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে স্পনসর্শিপ যুক্ত করতে পারেন।

অর্থাৎ এরকম অনেক ব্র্যান্ড কিংবা ইন্ডাস্ট্রিজ রয়েছে যারা ডিজিটাল প্রডাক্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকেন। তাদের ওয়েবসাইট কিংবা পণ্যকে প্রমোট করার জন্য এবং প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট কমিশন তারা আপনাকে দিয়ে দেয়।

ঠিক একই রকমভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় এবং আপনার ওয়েব সাইটে প্রতিদিনই ইউনিক অর্গানিক ভিজিটরের আগমন ঘটে তাহলে আপনি স্পনসর্শিপ নিতে পারেন।

এবং যখনই আপনি স্পনসর্শিপ নামের একটি পেইজ আপনার ওয়েবসাইট ওপেন করবেন তখনই যে কেউ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করার মাধ্যমে এই পেইজটি দেখবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য কমিশন রেট অনুধাবন করতে পারবে।

এবং আপনার দেয়া স্পন্সরশীপের মূল্যতালিকা কারো যদি নজরে যায় এবং কেউ যদি এই সমস্ত মূল্য তালিকা দেখে এটা মনে করে যে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেয়া প্রয়োজন তাহলে আপনি সহজেই এর সুবিধাভোগী হতে পারবেন।

লিংক শর্টনার

লিংক শর্টনার হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার অরিজিনাল লিংকে কিছুটা ছোট করে অন্যান্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাটফর্মে রি-ডাইরেক্ট করিয়ে তারপরে মেইন লক্ষ্যে পৌঁছানো হয়।

অর্থাৎ আপনি যদি যে কোন লিংককে শর্টনার করে ফেলেন তাহলে এই লিংকটি বিভিন্ন রকম অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্ল্যাটফর্মের প্রথমত ভিজিট করবে; এবং কোন ব্যক্তি যখন step-by-step কাজটি করতে পারবে তখনই সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

আর আপনি যদি লিংক শর্টনার ব্যবহার করেন তাহলে বিভিন্ন রকমের প্ল্যাটফর্মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারেন এবং তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার লিংক শর্টনার করতে পারেন।

  1.  Linkvertise
  2. Shrinkearn.com
  3.  Shrinkme

এ সমস্ত ওয়েবসাইটে ভিজিট করার মাধ্যমে আপনি এখানে একটি প্রোফাইল তৈরি করে নেবেন এবং তারপরে আপনার যতগুলো লিংক তৈরী করা দরকার তথ্যগুলো লিংক আপনি এখান থেকে তৈরি করতে পারবেন।

সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো; এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতি 1000 ভিউতে আপনাকে কম করে হলেও 60 থেকে 70 ডলার দিয়ে দিতে পারে; যা নিঃসন্দেহে ভালো একটি ব্যাপার।

আরেক একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার মত যে সমস্ত সেরা উপায় রয়েছে সে সমস্ত উপায়গুলো উপরে আলোচনা করা হল। আশা করি এগুলো আপনার উপকারে আসবে।