আপনি যদি কোন একটি প্লাটফর্মে আপনার ওয়েবসাইটকে রান করাতে চান, তাহলে আপনাকে হোস্টিং ক্রয় করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসে বাধ্যতামুলক ওয়েবসাইট হোস্টিং এর প্রয়োজন হয়। ওয়েব হোস্টিং কি?
তো, যখনই আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে Run করাতে চাইবেন, তখন যেহেতু হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে, সেজন্য হোস্টিং রিলেটেড ধারনার প্রয়োজন আছে।
সে জন্য আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে ওয়েব হোস্টিং কি এবং ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে।
আপনি যদি ওয়েব হোস্টিং এবং ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নিতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে দেখে নিতে পারেন।
ওয়েব হোস্টিং কি?
মূলত আপনি যদি আপনার যেকোনো একটি ওয়েবসাইট ইন্টারনেটের সচল রাখতে চান এবং আপনার ডাটা যেকোনো একটি স্থানে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখতে চান, তাহলে ওয়েব হোস্টিং এর প্রয়োজন হবে।
এক কথায় বলতে গেলে এটা বলতে হবে যে একটি ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে রান করার জন্য এবং এই ওয়েবসাইটে আপনার লেখাগুলো সংরক্ষিত রাখার জন্য যে প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, সেটিকে ওয়েব হোস্টিং বলা হয়।
দেখুন: A2Hosting রিভিও
ওয়েব হোস্টিং হলো একটি যুগান্তকারী উপায়, যার মাধ্যমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো একটি ডাটা সেন্টারের স্টোর হয়ে থাকবে এবং সেখান থেকে ইউজারকে সেই ডাটা গুলো তাদের পছন্দ অনুযায়ী দিবে।
ওয়েব হোস্টিং হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে আপনার ডাটাগুলো সুরক্ষিত থাকবে, এবং এখান থেকেই ইউজাররা তাদের এক্সেস অনুযায়ী সেই ডাটা নিজের আয়ত্বে আনতে পারবে এবং সেই ডাটা যেকোনোভাবে দেখে নিতে পারেন।
যেমন, আপনি যদি একটি ব্লগ আর্টিকেল লিখেন তাহলে ব্লগ আর্টিকেল পাবলিশ করার পরে যখনই ইউজাররা এই আর্টিকেলের ক্লিক করে প্রবেশ করবে তখন তারা এই ব্লগ আর্টিকেলটি দেখতে পারবেন।
ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার?
ওয়েব হোস্টিং কি সম্পর্কে জেনে নেয়ার পরে, এবার নিশ্চয়ই আপনি ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার সে সম্পর্কে জেনে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন।
ওয়েব হোস্টিং মূলত চার প্রকার। আর সেই চারটি প্রকার হলোঃ
- শেয়ার্ড হোস্টিং (shared hosting)
- V P S (Virtual private server)
- ডেডিকেটেড হোস্টিং (dedicated server)
- ক্লাউড হোস্টিং (cloud hosting)
মূলত আপনি চাইলে উপরে উল্লেখিত চারটি প্রকারভেদ এর মধ্যে হোস্টিং করে করতে পারবেন এবং এই সমস্ত প্রকারভেদ এর মধ্যে হোস্টিং ক্রয় করে আপনার ওয়েবসাইট রান করতে পারবেন।
এবার তাহলে উপরে উল্লেখিত চারটি প্রকারভেদ এর মধ্যে যে সমস্ত বিষয়াদি রয়েছে, সেগুলো কিছুটা হলেও জেনে নেয়া যাক।
শেয়ার্ড হোস্টিং
শেয়ার হোস্টিং এর মানে হলো, ওয়েব হোস্টিং কে শেয়ার করা। মানে, একটি web server অনেক গুলো ওয়েবসাইট শেয়ার করবেন।
মূলত, এই হোস্টিং প্ল্যান টা খুবই সুলভ মূল্যে পাওয়া সম্ভব। এবং নতুন একটি ওয়েবসাইটের জন্যে এই প্ল্যানটি সেরা হোস্টিং প্ল্যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং
ওয়েবসাইটে সিকিউরিটি দেয়ার জন্য এই হোস্টিং খুবই জনপ্রিয় এবং খুবই ব্যয়বহুল একটি হোস্টিং প্ল্যান। এর মাধ্যমে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে রান করেন তাহলে ওয়েবসাইট পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত হবে এবং পূর্বের তুলনায় বেশি কার্যকর হবে।
ডেডিকেটেড হোস্টিং
ডেডিকেটেড হোস্টিং অন্য হোস্টিং থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, শেয়ার্ড হোস্টিং এ আপনাকে একটি ওয়েব সার্ভার অসংখ্য ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করতে হয়।
কিন্তু ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভারে এই রিলেটেড কোন রকমের ঝামেলা নেই। এই হোস্টিং প্ল্যানে কেবল আপনাকেই হোস্টিং ভাগ করে দেয়া হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি খুব বেশি পরিমাণে ট্রাফিক থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে এই হোস্টিং প্ল্যান ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট খুবই ফাস্ট লোডিং হবে।
ক্লাউড হোস্টিং
ওয়েব হোস্টিং এর যে সমস্ত প্রকারভেদ রয়েছে সেটির মধ্যে থেকে সর্বশেষ যে প্রকার রয়েছে, সেটি হলক্লাউড হোস্টিং।
ক্লাউড হোস্টিং এ অনেক গুলি ওয়েব সার্ভার একসাথেই রাখা হয় এবং তাই আপনি আপনার প্রয়োজন হিসেবে সার্ভারের কিছু প্রয়োজনীয়তা যেমন সিপিইউ, র্যাম, স্টোরেজ বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন।
এই ওয়েব হোস্টিং প্ল্যানে সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ওয়েব হোস্টিং কি এবং ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার সে রিলেটেড বিস্তারিত তথ্য উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও জেনে নিনঃ ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার উপায়