অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্বস্তি

যে বা যারা অনিয়মিত মাসিক সমস্যার মধ্যে ভোগেন তারা নিশ্চয়ই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ সেবন করতে চান।

আপনি যদি অনিয়মিত মাসিক সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকেন তাহলেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঔষধ সেবন করতে পারেন, যা আপনার এই সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করতে পারে।

অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ সেবন করার আগে

অনিয়মিত মাসিক সমস্যার মধ্যে যদি কেউ ভোগেন, তাহলে তাদেরকে কিছু বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে হয় যে সমস্ত বিষয়াদির প্রভাব করলে তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন পড়ে।

কিংবা এই সমস্ত সমস্যার মধ্যে পড়লে সেই ব্যক্তি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:

সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে আর সেটি হল যদি বছরে তিনবারের বেশি ঋতুস্রাব না হয় তাহলে আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

  • যদি ঋতুস্রাব ২১ দিনের আগে এবং ৩৫ দিনের পরে হয়।
  • ঋতুস্রাবের সময় বেশি রক্তপাত হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
  • ৭ দিনের বেশি সময় ধরে ঋতুস্রাব হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
  • ঋতুস্রাবের সময় খুব ব্যথা হলে।

অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ হিসেবে কাজ করে

অনিয়মিত মাসিক থেকে বেচে থাকার জন্য আপনাকে যে বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • শরীরের ওজন সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
  • আয়রন জাতীয় খাবার খেতে হবে যাতে শরীরে পরিমিত পরিমাণে রক্ত থাকে।

যদি আপনি এই সমস্ত বিষয়ের দিকে নজর রাখেন তাহলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে আরও যে সমস্ত ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

আদা: আদা অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন পেটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আধা চা চামচ আদা কুঁচি এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন ৬ থেকে ৭ মিনিট। তারপরে এতে মেশান সামান্য চিনি বা মধু। এরপরে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। দিনে তিনবার খাওয়ার পরে এই মিশ্রণটি এক মাস খেতে হবে।    

হলুদ ব্যবহার: হলুদ হালকা গরম দুধের সাথে মেশান ১/৪ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। হালকা গরম থাকতেই খেয়ে নিন। প্রতিদিন খেলে অবশ্যই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।  

জিরা: পার্সলে এবং জিরায় রয়েছে প্রায় একই ধরনের উপকারিতা। তাই একই প্রক্রিয়ায় মাসিকের সময় এগিয়ে আনতে সহায়তা করে।

উপরে উল্লেখিত তিনটি পদ্ধতি ছাড়াও আরো বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি চাইলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

জেনে নিন: মুরগির বাচ্চা ঝিমানো ঔষধ এবং কিছু চিকিৎসা প্রণালী

তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবে না সেটি হল; যেকোন রকমের সমস্যা যদি খুব বেশীদিন একই ধারায় অব্যাহত থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

একজন অভিজ্ঞ ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে আশা করা যায়।

Scroll to Top