আমাদের মধ্যে যে বা যারা একটু মোটা কিংবা অসাবধানতাবশত ফুলে গেছেন, তারা নিশ্চয়ই চিকন হওয়ার ঔষধ খুজে নিতে হতে চান।
আর আপনি যদি চিকন হওয়ার ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে চিকন হতে চান কিংবা স্লিম হতে চান, তাহলে এই আর্টিকেল এ কিছু ঔষধের নাম মেনশন করা হবে। যেগুলো সেবন করার মাধ্যমে আপনি চিকন অবস্থায় ফেরত আসতে পারেন।
চিকন হওয়ার ঔষধের নাম কি?
চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে কিছু ঔষধ সেবন করতে পারে। তবে এই সমস্ত ওষুধ গুলোর সাইডএফেক্ট বিদ্যমান রয়েছে।
যার কারণে ঔষধ সেবন করার পূর্বে ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
বলাবাহুল্য, চিকন হওয়ার যে সমস্ত ঔষধ আছে, সবকটিরই কিছু না কিছু সাইডএফেক্ট রয়েছে, সেজন্য এগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
তবে চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ঔষধ মোটামুটি রকমের ভালো ভূমিকা পালন করে, সেগুলো মধ্য থেকে দুইটি ঔষধের নাম নিচে মেনশন করা হলো।
পিউরেক্স সিরাপ
এই সিরাপ সেবন করার মাধ্যমে আপনি চাইলে পেটের চর্বি এবং অতিরিক্ত মোটা ভাব দূর করতে পারবেন। অর্থাৎ অতিরিক্ত চর্বি উপশমের জন্য আপনি চাইলে পিউরেক্স সিরাপ সেবন করতে পারেন।
তবে এই সিরাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে পার্শপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে।
সাফি সিরাপ
এছাড়াও শরীর থেকে অতিরিক্ত মোটা ভাব দূর করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আরেকটি সিরাপ খেতে পারেন। আর সেটি হলঃ “সাফি সিরাপ”।
এই সিরাপ সেবন করার মাধ্যমে আপনার বডি স্লিম হবে এবং চেহারার উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে। তবে এই সিরাপ প্রয়োগে সাইড ইফেক্ট রয়েছে।
এই দুটি ঔষধ আপনি চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এগুলো প্রয়োগ করার পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
চিকন হওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতি
এছাড়াও আপনি চাইলে কিছু স্টেপ ফলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছুদিনের মধ্যে চিকন হতে পারেন।
কারণ আপনি হয়তো এই বিষয়ে অবশ্যই অবগত রয়েছেন, চিকন হওয়া যে সমস্ত ওষুধ রয়েছে , সেগুলোর সাইডএফেক্ট রয়েছে। যা আপনার শরীরের বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সেজন্য আপনি চাইলে ডায়েট কন্ট্রোল এবং আরো কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার রেজাল্টে পৌঁছাতে পারবে না।
চিকন হওয়ার জন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন বেশি করে লেবুর রস আর শসা খাবেন। অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত কিংবা চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করবেন। বেশি বেশি করে পানি পান করবেন।
এছাড়াও নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস এবং প্রতিদিন কিছু শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে সর্বাধিক রিকমেন্ড থাকবে, আপনি প্রতিদিন ১৫ মিনিট কিংবা আধাঘন্টা হলেও শারীরিক ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন। যা আপনার অতিরিক্ত চর্বি নির্গমনের সহায়তা করবে এবং শরীরকে স্লিম বা ফিট করতে সহায়তা করবে।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা দরকার সেটি হল আপনি যে কোন স্টেপ করার পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
কারণ কোন ভুল পদক্ষেপ ফলো করার কারণে আপনার যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায় কিংবা শারীরিক কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেটি পুষিয়ে নিতে আপনার ব্যাপক পরিমাণে কষ্ট করে যেতে হবে।