আপনি যদি ইতিমধ্যে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেন, তাহলে এই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে সফলতা পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার সেগুলো সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
এই আর্টিকেলের মধ্যে বর্ণনাকৃত বিষয়গুলো দিকে আমরা নজর রাখি না দেখেই ব্লগিং করার ক্ষেত্রে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়ে যায় অর্থাৎ সফলতার কোন দ্বারপ্রান্তে আমরা পৌঁছাতে পারি না।
কি সেই সমস্ত বিষয়ে গুলো? যে বিষয়গুলো একজন ব্লগার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হয়, যদি আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা অর্জন করতে চান।
আপনার কাজে রেগুলারলি আপডেট থাকা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্লগিং করেন কিন্তু রেগুলারলি এই ব্লগিংকে বেছে নেন না অর্থাৎ প্রতিনিয়তই তারা ব্লগিং ক্যারিয়ারের পিছনে সময় গুলো ব্যয় করেন না।
ব্যাপারটা এরকম যে আপনি ব্লগিং কে পেশা হিসেবে বেছে বেছে নিয়েছেন কিন্তু ব্লগিং করার ক্ষেত্রে আপনার অনিয়মিত ভাব চলে এসেছে।
অর্থাৎ রেগুলারলি আপনি কোন আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে কোন রকমের আর্টিকেল পাবলিশ করছেন না, আর্টিকেল পাবলিশ করলেও সেই আর্টিকেল আপনি সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার পাবলিশ করছেন।
আর আপনি যদি ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এরকম অনিয়মিত ভাব-ভঙ্গি করেন তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ারের আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না; এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই রেগুলারলি কনটেন্ট আপডেট দিতে হবে।
এছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে ব্লগিং এর সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং ব্লগিং করাকে যেহেতু আপনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাই নিয়মিত নতুন কোন বিষয় খুঁজে বের করতে হবে এবং এই বিষয়গুলো ইম্প্রুভ করতে হবে।
তথ্যবহুল কনটেন্ট এবং ট্রেন্ডিং টপিক
আপনি যদি ব্লগিং করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যে সমস্ত আর্টিকেলগুলো পাবলিশ করবেন সেই সমস্ত আর্টিকেল গুলোর টপিক হিসাবে ট্রেন্ডিং টপিক বেচে নিবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে আলোচনা করা হলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর খুব বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও একেবারে কম কম্পিটিশন এর মধ্যে আপনি খুব বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন।
যখনই আপনার ওয়েবসাইটে কোন আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখন চেষ্টা করবেন আর্টিকেলটি খুব বেশি পরিমাণে তথ্যবহুল করার এবং এখানে সমস্ত বিষয় গুলোকে পর্যালোচনা করার।
আপনি যখন একটি ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখনই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি হতে দেখবেন।
আর যখনই আপনার সাইটের ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল।
ধৈর্য ধারণ করা
ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এরকম অনেক সময় আসতে পারে যে সময়গুলোকে তাই আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
যেমন আপনি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নিয়ে নিলেন, কিন্তু কোনো কারণবশত গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট থেকে এড লিমিট করে দিল এবং এই ওয়েবসাইট থেকে ওই সময়ে আপনার আর কোনরকমে আর্নিং হলো না।
যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোন রকমে আর্নিং হচ্ছে না তখন আপনি যদি হতাশ হয়ে ওয়েবসাইটে কাজ করা বন্ধ করে দেন বা রেগুলারলি কনটেন্ট আপডেট দেয়া বন্ধ করে দেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে যতই দুঃখ আসুক না কেন সব সময় চেষ্টা করবেন ব্লগটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কখনো হতাশ হবেন না, সব সময় ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবেন।
কারণ গুগল এডসেন্স সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিকের সংখ্যা কম এবং ক্লিকে সংখ্যা বেশি হলে এড লিমিট করে দেয় এবং যখন আপনার ওয়েবসাইটে এডলিমিট হয়ে যায় তখন যদি আপনি কন্টেন্ট আপডেট দেন তাহলে এটি সহজেই চলে যায়।
এবার আপনি যদি ধৈর্য ধারণ না করে ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা বন্ধ করে দেন এবং এই সাইটের দিকে কোনো রকমের নজর না দেন, তাহলে এই ভুলটি আপনাকে ব্লগিং থেকে বিমুখ করে দিতে পারে।
খারাপ মন্তব্য এড়িয়ে চলা
এরকম কোন সফল ব্লগার আপনি ইন্টারনেটের জগতে খুজে পাবে না যারা ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে কোন না কোন খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি।
অর্থাৎ দেখা গেছে যে যখন তারা ব্লগিং শুরু করেছে তখনই হয়তো ফ্যামিলি থেকে কিংবা আশেপাশের লোকজনের থেকে নানা রকমের কটু কথা শুনতে হয়েছে, যে সমস্ত কথাগুলো খুবই হার্ট টাচিং হয়ে থাকে।
আর অনেকেই আছেন যারা এ সমস্ত কথাগুলো শোনার পরবর্তী সময়ে ব্লগিং-এর চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে দেন; আর আপনিও যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়ে সম্মুখীন হতে পারেন।
অনেকেই আপনাকে এরকম বুদ্ধি দিতে পারে যে ব্লগিং তেমন একটা লাভজনক পেশা নয়, তুমি এই ব্যবসাটি থেকে সরে আসা এবং অন্য কোন কিছু করো; আপনি যদি ওই ব্যক্তির কথাতে মনোযোগ দিয়ে দেন তাহলে আপনার ব্লগিং এর সফলতা কখনোই আসবেনা।
এক্ষেত্রে যতই বিরূপ মন্তব্য আসুক না কেন এই সমস্ত মন্তব্য গুলো এড়িয়ে চলে আপনার কাজে মনোযোগ দিতে হবে, তাহলেই দেখবেন কোন একদিন আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক বেশি সফল হয়ে গেছেন এবং যারা আপনাকে এই সমস্ত মন্তব্য করেছিল তারা আজকে ব্যর্থ।
সবসময় কাজের দিকে নজর দেয়া
আচ্ছা আমরা ব্লগিং ক্যারিয়ার কেন শুরু করব? নিশ্চয়ই ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার একটাই কারণ সেটা হল ব্লগিং ক্যারিয়ারকে আমরা প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করব।
আর আপনিও যদি ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করেন টাকা আয় করার জন্য তাহলে আপনার জন্য একটি ছোট নির্দেশনা রয়েছে; এই নির্দেশনা আপনার পরবর্তী সময়ে কাজে আসবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্লগিংয়ের সবেমাত্র চলে আসার পরেই টাকা আয় করতে চান অর্থাৎ ব্লগিং ওয়েবসাইট শুরু করার পরেই তারা টাকা আয় করতে চান। এটা কি আসলেই ঠিক?
যে বা যারা ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করেন শুধুমাত্র টাকা আয় করার জন্য তারা কোনদিনই সফল হতে পারেন না; এর মানে এটা মোটেও নয় যে আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার পরে টাকা আয় করার চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলবেন।
ব্যাপারটা এরকম যে, আপনি যখনই ব্লগিং শুরু করবেন তখনই টাকা আয় করার চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলবেন এবং যখনই ব্লগিং ক্যারিয়ারের সময়সীমা এক বছর অতিক্রম করে ফেলবে তখন আপনি মাথার মধ্যে টাকা আয় করার চিন্তাটা ঢুকে ফেলুন।
এই কথাটি সারমর্ম হল, ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার পরে সম্পূর্ণ মনোযোগ আপনার কাজের দিকে দিয়ে দিন। তাহলে যত সময় যাবে কত সময়ের মধ্যে আপনাকে টাকার দিকে নজর দিতে হবে না স্বয়ং টাকা আপনার দিকে নজর দিবে।
আর একজন ব্লগার হিসেবে সফল হওয়ার জন্য যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনার পর্যালোচনা করা উচিত সেগুলো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হলো। আশা করি এগুলো আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে সহায়তা করবে।