যেকোনো কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে সেক্ষেত্রে, প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে এই সংক্রান্ত চিন্তাধারা অনেকেই করে থাকেন।
প্রস্রাবে ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ওষুধ খেতে হবে সেই সংক্রান্ত তথ্য জেনে নেয়া জরুরি এবং সঠিক তথ্য জেনে নিলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে?
প্রসাবে ইনফেকশন হলে যে সমস্ত ঔষধ খেতে পারেন যে সমস্ত ঔষধের নাম নিচে তুলে ধরা হলো:
- অ্যামোক্সিসিলিন।
- সেফট্রিয়াক্সোন।
- সেফালেক্সিন।
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন ।
- নাইট্রোফুরানটাইন।
উপরে যে সমস্ত ঔষধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যে সমস্ত ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে আপনি ইনফেকশন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো: যে কোনো ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। কারন একজন ডাক্তার আপনার বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে ঔষধ সেবন করার কথা বলতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে বলতে হবে, যদি আপনার সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় থাকে এবং আপনার সমস্যাগুলো যদি খুবই সাধারণ অবস্থায় থেকে থাকে, তাহলে আপনাকে একরকমের ঔষধ দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে আপনি যদি হায়ার লেভেলের ঔষধ সেবন করে ফেলেন তাহলে সেটি আপনার অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য যে কোনো রকমের ঝুঁকি এরানোর জন্য আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।
এছাড়াও এখানে যে সমস্ত ঔষধ এর কথা মেনশন করা হয়েছে সেগুলো হলো এন্টিবায়োটিক ঔষধ। আর এন্টিবায়োটিক ঔষধের বিভিন্ন রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেগুলো একজন ডাক্তার কর্তৃক বিবেচনা করে রোগীকে ঔষধ দেয়ার কথা চিন্তা করা হয়।
ঘরোয়া উপায়ে প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়
এছাড়াও প্রস্রাবের যদি ইনফেকশন হয় তাহলে আপনি যেসমস্ত ঘরোয়া খাবার খেতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- বেরি জাতীয় খাবার: ক্রেনবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি।
- প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার: টকদই, কিমচি, আচার ইত্যাদি
- উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: কলা, বাদাম, ডাল, বীজ, গোটা শস্যাদি ইত্যাদি
- স্যালমন, মাছের তেলের সম্পূরক ইত্যাদি।
উপরে যে সমস্ত খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে সমস্ত খাবার যদি আপনি খান, তাহলে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে যা খাওয়া যাবেনা
এছাড়াও প্রস্রাবে ইনফেকশন যদি হয় তাহলে যেসমস্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- বেশি মশলাযুক্ত খাবার
- টক জাতীয় ফল
- কফি
- সোডা
- এলকোহল
- আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ইত্যাদি।
উপরে যে সমস্ত খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যে সমস্ত খাবার একজন প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ হিসেবে আপনার সেবন করতে মানা করা হয়েছে।
আপনি যদি প্রস্রাবের ইনফেকশন জনিত সমস্যায় ভুগেন তাহলে এই সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। কারণ এই সমস্ত বেশি পরিমাণে খাবার কারণে আপনার সমস্যাটির তীব্র পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে।
জানুন: স্কিন এলার্জি ঔষধ – ঘরোয়া পদ্ধতিতে অসুখ সারানোর উপায়
এছাড়াও এখানে আরেকটি বিষয় ভালোভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন আর সেটি হল, যেকোন রকমের সমস্যা হওয়ার সাথে সাথে এই সমস্যাটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া সর্বাপেক্ষা জরুরি।